দর্শকের মন মাতাবে নাচের নতুন জুটি বারিশ-সোহেল

নতুন প্রজন্মের মডেলদের মধ্যে বারিশ হক একটি সুপরিচিত নাম। তবে নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবেই পরিচয় দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। আর নাচের জগতের খ্যাতিনামা গুণীজনদের একজন হলেন সোহেল রহমান, যার নাচ আজ মুগ্ধ করে মানুষকে। বর্তমানে এই দুই প্রজন্ম একে অন্যের সাথে নাচের জুটি বেঁধেছেন।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমী থেকে পাস করার পর বাফা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে নাচ করেছেন বারিশ হক। তবে এদানিং তার পরিমাণ অনেকাংশেই কমিয়ে দিয়েছেন তিনি।

দর্শকের মন মাতাবে নাচের নতুন জুটি বারিশ-সোহেল

বারিশ হক বলেন, জুটি বেঁধেই কাজ করতে আগ্রহী আমি। বাংলাদেশের যত গুণী নৃত্য শিল্পী রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এই জুটি প্রথা অনুসরণ করে এসেছেন। যেমন শামিম আরা নিপা-শিবলী মোহাম্মদ, লিখন রায়-নাদিয়া আহমেদ এমন আরও অনেকেই রয়েছেন। এসকল গুণী শিল্পীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন সোহেল রহমান যিনি এর আগে শখের সাথে কাজ করেছেন, নৃত্যশিল্পী ফারজানা রিয়ার সাথে কাজ করেছেন। এমন একজন গুণী শিল্পীর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি।

অপরদিকে ১২ বছর পর্যন্ত মার কাছে হাতে খড়ির পর বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন সোহেল রহমান। সেখানে রাহিজা খানম ঝুনু তাকে কত্থক ও সাধারণ নৃত্য শেখাতে থাকেন। নাচিয়ে সোহেলকে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তিনি আলাদাভাবে সোহেলকে নাচ শেখাতে থাকেন। সেখানে তিনি সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করেন। এরপর রাহিজা খানম ঝুনুই তাকে অন্যদের নাচ শেখানোর দায়িত্ব দেন। এমন হয়েছে তিনি তার থেকে বেশি বয়স্কদেরকে নাচ শিখিয়েছেন। নতুন কুড়িতে গেলে সেখানে তার নাচ দেখে বিচারক লায়লা হাসান মুগ্ধ হন। তিনিও সোহেলকে নাচ শেখাতে থাকেন। রায়ের বাজারে বেড়ে ওঠা সোহেলের নাচই জীবন।

তিনি বলেন, ‘নাচ এমন একটি শিক্ষা, যা অর্জন করলে একজন মানুষ সংস্কৃতির সবশাখায় ভালো করতে পারবে, সফলতা অর্জন করতে পারবে। কারণ নাচ শেখা মানেই এক্সপ্রেশন দিতে শেখা, গানের তাল-লয় শেখা, নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে শেখা।’

তিনি নাচ করেছেন ডলি ইকবাল, লোপা চৌধুরী, শাওন মোস্তফা ও শামীম আরা নীপার সঙ্গে। পরবর্তীতে মৌ, রিয়া, সাবা ও শখের সাথেও তার জুটি জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি এখন বুলবুল ললিতকলা একাডেমির নৃত্য শিক্ষক। তিনি ধারণ করছেন নৃত্যকে।

তিনি আরও বলেন, নাচের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগের মতো নাচকে প্রাধান্য দিতে চায়না কেউই। আর নাচের ক্ষেত্রে একটা ছেলের চেয়ে একটা মেয়ে বেশী আকর্ষিত করে সবাইকে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম দ্রুত সফলতার জন্য নাচের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। সে দিক থেকে বারিশের নাচের প্রতি ভালবাসা সীমাহীন। তার সেই ভালবাসায় মুগ্ধ হয়েই তার সাথে জুটি হিসেবে নাচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন বাকিটা মানুষ আমাদের কতটা গ্রহণ করে তার ওপর নির্ভর করছে।

নতুন জুটি হয়ে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি চ্যানেলে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বারিশ হক ও সোহেল আহমেদ। তারা আশাবাদী নতুন জুটি হিসেবে সকলেই তাদের সানন্দে গ্রহণ করে নিবে এবং ভালবাসবে। কারণ একটা জুটি দর্শকের ভালবাসার ওপরই নির্ভর করে।