মাদকের বিশেষ অভিযানেও থামছেনা ফরিদপুরের মাদক ব্যবসা!

ফরিদপুরের সদরপুর মাদকের বিশেষ অভিযানেও থামছেনা মাদক ব্যবসা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা মাদকে ভাসছে। বিশেষ করে আটরশি, বাইশরশি, সাড়ে সাতরশির কালিখোলার মোঁড়, চরচাঁদপুর বাজার, নতুন বাজার, হাটকৃষ্ণপুর, চোকদারের বাজার, মনিকোটা, আকোট কালিখোলা, পিয়াজখালী, চরবলাশিয়া মসজিদ ঘাট, চন্দ্রপাড়া ঘাট, চরমানাইড় বোট বাজার, চান্দ্রা নতুন বাজার ঢেউখালী বাজারসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবাদে মাদক বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা সদরের আলমেরমোঁড়, সদরপুর সিনেমা হল এলাকা, কলেজমোড়, মহিলা কলেজ এলাকা, কদমতলা ও শিশু পার্ক এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে মাদকের আড্ডা । স্কুল গামী কিশোর থেকে যুবকরা ঝুঁকে পড়ছে মাদক সেবনে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাচ্ছে। হাত বাড়ালেই ইয়াবা সহজে পাওয়ার কারণে যুব সমাজ দল বেঁধে মাদক সেবন করছে। ইয়াবা আমদানী করণের সাথে এলাকার রাঘববোয়ালরা জড়িত আছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। মাঝে মধ্যে সদরপুর থানা পুলিশের হাতে কিছু মাদকসেবীরা গ্রেফতার হলেও রাঘব বোয়ালরা পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আকটেরচর গ্রামের ছত্তার চৌধুরীর ডাংগী সোবাহান কাজী, একই এলাকার হাবিব সেক, খালেক, মুরাদ মুন্সী, দিদার প্রামানিক, বাবুল বেপারী, চর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বকুল বেপারী, বাবুল সেক, আক্তার, আল আমিন, চর মানাইর হাকিম মাদবারের হাটে আঃ রাজ্জাক (নুলা রাজ্জাক), চর চাদপুর বাজারে হারুন মুন্সী, তার ভাগিনা নূরু মুন্সী, সদরপুর শ্যামপুর গ্রামের ফারুক, পিয়াচখালী বাজারে শাহজাহান খাঁন, বাবুর চরের শহীদ, চর বলাশিয়া ঘাটের পলাশ, হরিন্যা গ্রামের শাহিন মোল্যা, সোরহাব মোল্যা , চর দোবাইল গ্রামের মাসুদ, ঢেউখালী দেওয়ানজি বাড়ী নূরু সেক, সোহেল সেক এদের মধ্যে অনেকে একাধিক বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েও অদৃশ্য কারণে কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পুণরায় মাদক ব্যবসায় ঝুঁকে পড়ছে।

এব্যাপারে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, ১০দিনের বিশেষ অভিযানে ১৯ জনকে গ্রেফতার ও থানায় ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি