ফরিদপুরে বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রাণনাশের হুঁমকি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের ভাঙ্গা বাজার হেলিপ্যাড এলাকায় এক হতদরিদ্র কিশোরী(১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। তবে ধর্ষক পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ধর্ষক রানা (২৫) একই এলাকার প্রভাবশালী মাহমুদুল হাসানের ছেলে। আর কিশোরীটি মুন্সীগঞ্জের দোহার থানার নারিয়া গ্রামের মৃত শাহীন শেখের মেয়ে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় গত বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি পিতৃহীন কিশোরীটি মাকে নিয়ে অভাবের তাড়নায় তার মামাবাড়ী ভাঙ্গা উপজেলার শরীফাবাদ গ্রামে মৃত আশরাফ আলীর বাড়িতে আসে। ক্ষুধার তাড়নায় ওই কিশোরী ও তার মা উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচাকার কাজ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বখাটে রানা কিশোরীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই কিশোরী রানাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে রানা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর চাপে রানা তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়।

কিন্তু পরে রানার বাবা মাহমুদুল হাসান কিশোরী ও তার মাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কাজ শেষে বাড়ির ফেরার পথে রানা ও তার বাবা মাহমুদুল হাসান লাঠি নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে কিশোরীটিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরী নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামী রানাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে কিশোরীটিকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি