দয়া করে অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে বিচার-বিশ্লেষন করে কথা বলুনঃ শাওন
গত ২৫ মে শুক্রবার সকালে রামু উপজেলায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকা থেকে ৪১ বছর বয়সী আক্তার কামালের লাশ উদ্ধারকৃত লাশ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে গুলিতে নিহত মাদক ব্যবসায়ী আক্তার কামাল সম্পর্কে এমপি বদির বড় বোন শামসুন্নাহার এর দেবর হন। তবে এ বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন এমপি বদি।
এক সাক্ষাতকারে এমপি বদি বলেন, ‘সকালে রামুতে মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে নিহত আক্তার কামাল আমার বেয়াই নয়। তার সঙ্গে কোনোপ্রকার সম্পর্ক নেই আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু না জেনেই মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমার বড় বোনের নাম শামসুন্নাহার ঠিকই। কিন্তু তার দেবরের নাম আক্তার কামাল নয়, তার দেবরের নাম নুরু।’
এ কথার সত্যটা নিশ্চিত করতে এমপি বদির ছেলে শাওন আরমান সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন,
প্রিয় দেশবাসী,,
আপনারা যারা আমার পিতা আবদুর রহমান বদিকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই লিখা….
আমার পিতা আবদুর রহমান বদি যিনি উখিয়া-টেকনাফ আসনের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুই বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গরীব-অসহায় মানুষের পাশে থেকে যিনি রাজনীতি করেছেন। তাদের পাশে থেকেছেন। আর পাশে থাকাই আজকে ওনার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পিতা নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন বিএনপির ৪ বারের সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদে গিয়েছিলেন উখিয়া-টেকনাফের জনগণের পবিত্র ভোটাধিকার নিয়ে। সেই পবিত্র আমানত ভোটের অধিকার রক্ষায় উখিয়া-টেকনাফের উন্নয়নে তিনি কি করেছেন তার স্বাক্ষী উখিয়া-টেকনাফের জনগণ। এরপরের বার অর্থাৎ ১০ সংসদ নির্বাচনেও আবারো নির্বাচিত হয়ে আজ পর্যন্ত তিনি পিছিয়ে পড়া উখিয়া-টেকনাফকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি কারো কাছ থেকে কোন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বা সুবিধা দাবী করেছেন তা কেউ বলতে পারেনি। কিন্তু একটি জঘন্য অপবাদ ওনার বিরুদ্ধে দেয়া হয় যা বর্তমান সময়ে আলোচিত সেটি হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে আসা মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসায় ওনি জড়িত। যে মরন নেশার ছোবল সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওনি কি আদৌ এই ব্যবসায় জড়িত বা এই ব্যবসায় কাউকে পৃষ্ঠপোষকতা করেন কিনা? যারা আমার পিতাকে কথায় কথায় ইয়াবা ব্যবসায়ী বানান তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন?
১. ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কাউকে বাচানোর জন্য আমার পিতা সারা বাংলাদেশে প্রশাসনের কাউকে অনুরোধ করেছেন কিনা?
২. কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোন ধরনের অার্থিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা?
এছাড়াও আরো অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি হয়।
যাক এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে….
আমার পিতাকে যদি এই অপবাদে জড়িয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে লাভবান হবে কারা এবং তারা কি জন্য এগুলো করছে:
যদি এমপি বদিকে ইয়াবা নিয়ে বিতর্কিত করা যায় তাহলে যারা মূল ইয়াবা ব্যবসায়ী তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে। কারন সবার দৃষ্টি থাকবে ওনার দিকে আর মে সুযোগে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের মত করে ব্যবসা করবে। এছাড়াও রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি-জামায়াত চরম ভাবে লাভবান হবে। কারন তাদের হারানো আসন পুনরোদ্ধার করতে এমপি বদিকে বিতর্কিত করাই তাদের মূল কাজ। আর সেই কাজে তাদের অন্যতম অস্ত্র হচ্ছে এই জঘন্য ইয়াবা ব্যবসায় এমপি বদিকে জড়ানো।
তাই সর্বশেষ বলবো, আপনার যারা আমার পিতাকে ভুল বুঝে নানা ভাবে মন্তব্য করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, দয়া করে অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে দিনের আলোতে এসে সবকিছু বিচার-বিশ্লেষন করে কথা বলুন। তাতে একজন মানুষ মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পাবে আর প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আইনের আওতায় আসবে।
ধন্যবাদ সবাইকে…..
সকলের উদ্দেশ্যে শাওন আরমান তার বাবার নামে মিথ্যা অপবাদ না ছোড়ানোর অনুরোধ জানান। তিনি চান কারো ওপর মিথ্যা অপবাদ না লেগে যেন আসল অপরাধীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।