ফরিদপুরে সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া, হয়রানী ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা!

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পানির দরে সরকারী পুরনো ভবন বিক্রির তথ্য প্রকাশের জের ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার পর ভবিষ্যতে আর এমন হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে স্থানীয় এক সাংবাদিক। বর্তমানে ওই সাংবাদিক আরো হয়রানীর আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

দীর্ঘদিন ফরিদপুরের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করা ওই সাংবাদিকের নাম জাকির হোসেন। গতকাল বুধবার তাঁকে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সম্মুখিন করা হয়। এর আগে ফেসবুকে একটি ষ্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক জাকির হোসেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বোয়ালমারী উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের সবুজবাংলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন অনিয়মের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এলাকাবাসীর দাবী ভবনটির আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং কোন প্রকার প্রচারণা না চালিয়ে নিলাম কমিটি পানির দরে ভবনটি বিক্রি করে দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তলব করা হয় সাংবাদিক জাকির হোসেনকে। এরপর সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত পুলিশ তাকে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। সাংবাদিক জাকির হোসেন বলেন, পুরো পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিলো আমি কোন বিরাট ফৌজদারি অপরাধ করে ফেলেছি। ভুল তথ্য পরিবেশনের অপরাধ স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এমন আর হবেনা এমর্মে লিখিত দিলে আমি সেখান থেকে ছাড়া পাই।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিকট চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। থানার পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তার কাছে কেনো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। আমার কাছে অভিযোগ করতেই পারে।

ভবন বিক্রি নিয়ম মাফিক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই বিধায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়নি।

হারুন-অর-রশীদ,ফরিদপুর প্রতিনিধি