রমযানে ফরিদপুরে জমে উঠেছে মৌসুমী ফলের বাজার

পবিত্র রমযানে ফরিদপুরের অধিকাংশ শহর এলাকার বাজারগুলোতে মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা ফল দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যবসা এতদিন মন্দা হলেও এ সপ্তাহে তাদের বিক্রি বেড়েছে। মৌসুমী এসব ফলে কেমিক্যাল মেশানো হয়না। কেননা কেমিক্যাল মেশালে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে এসব ফল পচে যায় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

এদিকে জেলার সদর উপজেলার বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকার তিতুমীর বজার, নিউ মার্কেট, হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার, টেপাখোলা, কানাইপুর বাজার ও পৌর শহরসহ প্রায় সব বাজারে দেশীয় ফলের সরবরাহ বেড়েছে। এসব ফলের মধ্যে কাঁঠাল আকারভেদে ১০০-১৫০ টাকা, আপেল প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকা, দেশীয় আম প্রতিকেজি ১৫০-১৬০ টাকা, পাহাড়ী আনারস প্রতিপিছ ৩০-৩৫ টাকা, বাঙ্গি প্রতিপিছ ৫০-৬০ টাকা, লিচু প্রতিশত ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় ও ছোট ছোট বাজারে এবং মোঁড়ে মোঁড়ে রিকশা ভ্যানে ফেরি করে দেশী জাতের আম, আনারস, কাঁঠাল, লিচুসহ মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে।

ফরিদপুরের সালথার রোকন নামের এক আম ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আর ঝড়ে গ্রামের গাছের আম অনেকটাই ঝরে গেছে। ঝরে পড়া এসব আম পাইকারি কিনে তিনি ভ্যানে ফেরি করে খুঁচরা বিক্রি করছেন। আধা পাকা আম প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। এগুলো অনেকে আমসত্ত্ব ও চাটনি করে খাওয়ার জন্য কিনেন।

হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে ফল কিনতে এসেছেন স্কুল শিক্ষক সেলিম মিয়া। তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতে মৌসুমী ফলের প্রতি সবারই আকর্ষণ থাকে। দাম এখন কিছুটা বেশি হলেও ইফতারি ও বাচ্চাদের জন্য আম ও লিচু কিনেছেন। তবে ফলের বাজার যাতে রাসায়নিক কেমিক্যাল (ফরমালিন) মুক্ত থাকে সেজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখার দাবী জানান তিনি।

নিউ মার্কেট এলাকার এক ফল বিক্রেতা জানায়, বৃষ্টির কারণে এতদিন বিক্রি তেমন ছিল না। ফলে তরমুজ,বাঙ্গি ও লিচু পঁচে অনেকটা লোকসান গুণতে হয়েছে। কিন্তু রমযান উপলক্ষে মৌসুমী ফলের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে।

হারুন-অর-রশীদ,ফরিদপুর প্রতিনিধি