বাসের চাপায় পা হারানো আলাউদ্দিনও পরাজিত!

বাসের চাপায় পা হারানো কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আলাউদ্দিন সুমন ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১২ মে হানিফ ফ্লাইওভারে দায়িত্ব পালন করার সময় গুলিস্তানগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বাসচালক ইকবাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখন সেই বাসচালক কারাগারে রয়েছেন। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। ওয়ারী থানার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, আলাউদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আলাউদ্দিনের ভাই সালাউদ্দিন পলাশ যুগান্তরকে জানান, ঘটনার পর তিনি ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেছেন। তার ভাই অনেক দিন ধরে হানিফ ফ্লাইওভারে কমিউনিটি পুলিশ হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

ঘটনার দিন সকাল ১০টায় তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা তারাবো পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। আলাউদ্দিন পড়ে গেলে বাসের চাকা তার বাঁ পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে পরিবার নিয়ে থাকতেন আলাউদ্দিন। তার স্ত্রীর নাম ঝুমুর আক্তার।

তাদের দুই সন্তান। বড় মেয়ে বুশরা স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলে ইশরাক পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে। বৃহস্পতিবার হানিফ ফ্লাইওভারে দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারান ঢাকা ট্রিবিউনের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন।

২৮ এপ্রিল এ ফ্লাইওভারে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় রাসেল সরকার নামের এক প্রাইভেট কারচালক পা হারান। এর আগে এপ্রিলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যু হয়।