রাজধানীতে র্যাবের হাতে ২৩ প্রতারক আটক
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে ভুয়া এমএলএম কোম্পানি ’’লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড’’ এ চাকুরী দেওয়ার নামে ট্রেনিংয়ের কথা বলে লাখ লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনাকালে ২৩ জনকে আটক করেছে র্যাব-১১-এর একটি দল।
র্যাবের হাতে আটককৃতরা হলো কোম্পানির পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান (৪৫), ডিস্ট্রিবিউটর গোলাম কিবরিয়া (৩৯), ইনচার্জ রাশেদুর রহমান সুমন (৪০), সুমন (১৯), মো. রবিন (১৭), আমিনুল ইসলাম সোহেল (২৪), মো. মাহবুবুর রহমান (২৪), মো. রুহুল আমিন (২৫), মোহাইমিনুল ইসলাম (২৮), সজীব হোসেন (২৪), মো. ইমন মিয়া (১৮), মো. সাইফুল ইসলাম (২৬), মো. শরীফুল ইসলাম (২৪), মো. আরিফুল ইসলাম (২৫), মো. নাঈম (২২), আবুল কালাম (৩২), মো. সাকিব (২৫), আমজাদ হোসেন (২০), মো. হরমুজ আলী (১৯), মো. শাহিন ইসলাম (২৪), দেলোয়ার হোসেন (২৫), নয়ন চন্দ্র রায় (২৫) ও বিটু মিয়া (২৪)। এসময় র্যাব সদস্যরা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩৭টি মোবাইল, ৫টি কম্পিউটারের মনিটর, ২টি সিপিইউ, ২টি টেলিভিশন, ১টি প্রিন্টার, ১টি ল্যাপটপ, ১টি ওয়াটার ফিল্টার, ২টি স্পুন সেট, ১টি ফিরনি সেট, ১০টি স্যুপ পিচ, ২টি ডিনার সেট, ৬টি ফুড পট পিচ, ২টি হটপট সেট, ৪টি ব্লাংক সাইন ষ্ট্যাম্প পেপার, ১টি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, নগদ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ টাকা ও বেশ কিছু ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়।শনিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ভুয়া এমএলএম কোম্পানি লাইফওয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডে এঘটনাটি ঘটে।র্যাব-১১-এর অপারেশনস অফিসার এএসপি মো. নাজমুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এএসপি মো. নাজমুল হাসান জানান, এই এমএলএম কোম্পানি মাসে ১৬ হাজার ও তার বেশি টাকার বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ভিন্ন তিনটি প্যাকেজে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে যথাক্রমে ২৭ হাজার ১০০, ৩৭ হাজার ১০০ ও ৪৭ হাজার ১০০ টাকা নেয়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের নামে সপ্তাহখানেক কালক্ষেপণ করে প্রত্যেককে নতুন দুজন সদস্য সংগ্রহের শর্ত দেওয়া হয়। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিলে সংগৃহীত টাকার সামান্য কমিশন দেয়।
তিনি জানান, যারা নতুন সদস্য সংগ্রহ করে দিতে পারেননি তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে খালি স্ট্যাম্প ও আপসনামায় জোর করে সই নিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর যারা প্রতিবাদ করে তাদের কোম্পানির ভাড়া করা লোকজনকে দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে জানিয়েছেন এএসপি মো. নাজমুল হাসান। তিনি আরো জানান, আমরা এমন ৩১ জন ভিকটিম উদ্ধার করেছি। যারা প্রত্যেকে চাকরির ট্রেনিংয়ের জন্য প্যাকেজ অনুযায়ী টাকা দিয়েছেন।
তানজীন মাহমুদ (তনু), নিজস্ব প্রতিনিধি