টেকনাফের অধ্যাপক মোঃ আলীর পুত্রের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা
উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পেট্রোল পাম্পের আড়ালে চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা । সূত্র মতে জানা গেছে মোঃ আলীর পুত্র রাশেদ মোঃ আলীর এই ইয়াবা ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন করছে। রাশেদ মোঃ আলী পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাফ ফিলিং স্টেশনের আড়ালে করছে ইয়াবা ব্যবসা। টেকনাফের হ্নীলার ঐ তেলের পাম্পের গাড়িতেই ইয়াবা পরিবহন করা হয়।
গত শনিবার চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ নাফ ফিলিং স্টেশনের গাড়ি তল্লাশি করে ২৪ লাখ টাকার ইয়াবা আটক করেছে। টেকনাফের সাবেক সংসদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আলীর পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।
এই আওয়ামীলীগ নেতার পুত্র রাশেদ মোহাম্মদ আলী ও জামাতা দিদারুল আলম দেশের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে সারা দেশে পাচার করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, পুলিশ সহ সরকারী সব সংস্থার তালিকায় রাশেদ মোঃ আলী ইয়াবা গডফাদার হিসেবেই তালিকাভূক্ত। সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে রাশেদ মোঃ আলী নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা বাংলাদেশে নিয়ে আসে। পরে পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাফ ফিলিং স্টেশনের তেলের গাড়িতে করে ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে।
চট্টগ্রামের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবদুল মোনাফ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফের নাফ ফিলিং স্টেশনের গাড়িতে করে ইয়াবা চট্টগ্রামে পাচার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় নাফ ফিলিং স্টেশনের গাড়ি ঢাকা মেট্রো ঢ ৪১-০২৭৩ নাম্বার গাড়ি তল্লাশিকরে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২৪ লাখ টাকা মূল্যে ৮ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এই সময় গাড়ির চালক কালাম হোসেন, হেলপার জিয়াবুল সহ ফিলিং স্টেশনের ৩ কর্মচারীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আটক ৩ জনই দীর্ঘদিন ধরে তেল পরিবহনের পাশাপাশি ইয়াবা পাচারের কথা স্বীকার করেছে। চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, নাফ ফিলিং স্টেশনের গাড়ি থেকে ইয়াবা উদ্ধার ও ৩ জন আটকের ঘটনায় ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক ভাবে গাড়িটি টেকনাফের সাবেক সংসদ অধ্যাপক মোঃ আলীর নাফ ফিলিং স্টেশনের তেল আনা নেয়া করতো বলে জানা গেছে। গাড়িটির অধ্যাপক মোঃ আলীর পুত্র রাশেদ মোঃ আলীর বলে প্রাথমিক ভাবে জানায়।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেঘনা অয়েল কোং ও বিআরটিসির কাছে তথ্য চাওয়া হবে। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাশেদ মোঃ আলী গাড়িটি তার নয় বলে অস্বীকার করেন। তিনি আরো জানান ইয়াবা পাচারের সাথে তিনি কখনোই জড়িত নন। তিনি জানান একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়েছে। ঐ মহলটিই তার নাম বিভিন্ন তালিকায় ডুকিয়ে দিয়েছে।