চার বছর পর ফিরে সৌমিত্রকে নিয়ে ঈশিতার চমক!

বরেণ্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি মুগ্ধতার রেশ এখনো কাটেনি ঈশিতার। সৌমিত্র কলকাতার একজন জনপ্রিয় কবি ও চিত্রশিল্পী। একসময় বাংলাদেশে ছিলেন। আর ঈশিতা সাংবাদিক। ঢাকার একটি শীর্ষ পত্রিকায় কাজ করছেন। সৌমিত্রের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য তিনি কলকাতায় যান। একসময় দেখা যায়, প্রবীণ আর নবীন এই দুজন মানুষের মধ্যে কোথায় যেন একটা মিল রয়েছে।

বলছি টেলিছবি ‘কাঠপেনসিল’র কথা। আজ শনিবার সকালে তিনি দেশে ফিরেছেন। চার দিন কলকাতায় ছিলেন। সেখানে তিনি অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

ঈশিতা বললেন, ‘মনে হচ্ছে এখনো স্বপ্ন দেখছি। পুরো দুই দিন এমন একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।’ ঈশিতা সর্বশেষ অভিনয় করেছেন চার বছর আগে, ঈদের নাটকে। পরিচালক শহীদুজ্জামান সেলিম। এবার তিনি অভিনয় করেছেন টেলিছবিতে। নাম ‘কাঠপেনসিল’। কাহিনি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন রাফায়েল আহসান। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন জ্যোতি হাজরা।

সৌমিত্রের সঙ্গে প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ঈশিতা বললেন এভাবে, ‘সবাই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্ধারিত সময়ে তিনি এলেন। তাঁকে এত কাছ থেকে দেখে আমি কিছুক্ষণের জন্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই। তিনিই আমাদের সবাইকে স্বাভাবিক করলেন। এরপর পুরোটা সময়জুড়েই ছিল তাঁর প্রতি মুগ্ধতা।’

কাজের ফাঁকে সৌমিত্রর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন ঈশিতা। বললেন, ‘একটা শট শেষ হওয়ার পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো, শটটা কেমন হয়েছে?” ভাবতে পারছেন, তাঁর মতো একজন বিখ্যাত মানুষ আমাকে এমন প্রশ্ন করছেন! তিনি আরও বললেন, “উত্তমকুমারও শট দিয়ে এসে জিজ্ঞেস করত, তা কেমন হয়েছে। এখন কেউ এসব বলে না।” আমরা পাশাপাশি বসে মেকআপ নিয়েছে, দুপুরের খাবার একসঙ্গে খেয়েছি। এ সময় তিনি নানা গল্প করেছেন। একবারও মনে হয়নি, আমি তাঁর অপরিচিত কেউ। তাঁর কথা শুনে মনে হয়েছে, তিনি আমার অনেক দিনের চেনা।’

ঈশিতা জানালেন, তাঁরা কাজ করেছেন কলকাতার ঘোষবাড়ি শুটিং হাউসে। এ ছাড়া ময়দান, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ট্রাম স্টেশন, গঙ্গার ধারে, কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। এই টেলিছবিতে তাঁর সঙ্গে আরও কাজ করেছেন অন্তু। গল্পে তিনি আলোকচিত্রী। এবার ঈদে দেখানো হবে টেলিছবিটি।