পুরনো প্রশ্নপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ

চলমান উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় গত বছরের (২০১৬) বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার টাঙ্গাইলের বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন হাতে পেয়ে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্রের ঘরটি পূরণ করা শুরু করে। প্রায় ২০মিনিট পর এক শিক্ষার্থীর নজরে আসে ২০১৬ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি। তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষার্থী দায়িত্বরত শিক্ষককে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হন। পরে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার সময় সাত মিনিট বাড়িয়ে দেন। এ কেন্দ্রে সকালে বাসাইল জোবেদা রুবেয়া মহিলা কলেজ, করটিয়া আবেদা খানম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শহীদ রওশন আলী কলেজের ৮৪জন শিক্ষার্থী দুইটি কক্ষে হিসাব বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রায় ২০জন শিক্ষার্থীর হাতে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট তুলে দেওয়া হয়।

এ কেন্দ্রের ২০ নম্বর কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের কক্ষে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্নে প্রায় ২০ মিনিট পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর বিষয়টি নজরে আসলে দায়িত্বরত শিক্ষককে জানানো হয়। পরে সাত মিনিট পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’

একই কেন্দ্রের ১৪ নম্বর কক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। পরে সাত মিনিট সময় বাড়ানো হয়।

বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ভুলক্রমে ২০১৬ সালের বহুনির্বাচনী ‘গ’ সেট প্রশ্ন দেয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পরিবর্তন করা হয়।

এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে গিয়ে প্রশ্ন পরিবর্তন করা হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সাত মিনিট সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়।