‘ওখানে কি আমরা বেড়াতে গেছি, খেতে গেছি নাকি?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে আমরা যে কারও সঙ্গে সম্পর্ক করতে পারি। আমাদেরকে বিজেপি আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা কি সেখানে খেতে গেছি নাকি? ওখানে কি আমরা বেড়াতে গেছি? আনন্দ উল্লাস করতে গেছি? আমার তাদের সঙ্গে সিরিয়াসলি আলাপ আলোচনা করেছি। আমার এসব কিছু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাব।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিন দিনের সফর শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের ভারত সফর নিয়ে ‘গুজবের ডাল-পালা’ চান না কাদের।

তিনি বলেন, সফরে আমরা একটা টাইট শিডিউলে ছিলাম। এ সফর নিয়ে গুজবের ডাল-পালা মেলুক তা চাই না। তাই দুই-এক দিনের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে সব জানানো হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দল। আমাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ। ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়টি দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে প্রতিবেশি ভারতের ইন্টারফেয়ারের কিছু নেই। আমরা আশাও করি না। এসব ব্যাপার আমারাই ঠিক করব।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে তা আশা করি না। আর ভারত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। এবারও করবে না। তাদের অনেক নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের রুলিং পার্টির আমন্ত্রণে আমরা ভারতে গেছি। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। আমার সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। সেগুলোর মধ্যে সীমান্ত চুক্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন তারা। এ দুই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিও হবে। আমাদের পানির জন্য যে হাহাকার তা উপস্থাপন করেছি। এ চুক্তি হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর সময় যদি তিস্তা চুক্তি হয় সেটা দুই দেশে জন্য ট্রিমেন্ডাস গুড উইল তৈরি হবে।

কাদের বলেন, আমার দুই একদিনের মধ্যেই একটি সংবাদ সম্মেলন করব। কারণ তথ্য যদি না দেই তাহলে এটা শুভ নয়। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমার কিছু গোপন করতে চাই না। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব কিছু প্রকাশ করব। যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে।

তিনি বলেন, ভারতের সংবাদিকরাও অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমার কিছুই বলতে চাইনি।

এর আগে প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দরে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ফুল দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন।