তারেকের নাগরিকত্ব বর্জন সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- এমন বক্তব্য দেয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং ওই বক্তব্য প্রকাশ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন’- এ খবর ভিত্তিহীন দাবি করে তা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।

গত ২১ এপ্রিল, শনিবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে তারেক এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে সবুজ পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সেই তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।’

ওই বক্তব্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ২৩ এপ্রিল, সোমবার দৈনিক কালের কন্ঠ ও দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ নয় বছর ধরে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তারেক রহমান। এক/এগারোর সময়ে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। এখন তিনি কারাগারে আছেন। ওই মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। আসামি সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে ও দণ্ডিত করা হয়।