তুরাগ বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বাড্ডা রোডে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে আসে সেই ছাত্রী। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ আশানুরূপ কোন সমাধান দিতে পারেনি। পরবর্তীতে সহপাঠী ছাত্রছাত্রীরা বিষয়টি জেনে আইনগত সহযোগিতার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ ধারায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তুরাগ পরিবহনের ওই বাসের অজ্ঞাত চালক, হেলপারসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নং ২৬।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক জানান, গতকালই (রোববার) মামলা নেয়া হয়েছে। মামলায় আসামিদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। সনাক্ত হলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, ওই ছাত্রী শনিবার দুপুরে উত্তরা ৬নং সেক্টরে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আসার জন্য উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। তখন বাসে ৭-৮ জন যাত্রী ছিল। এ সময় নাটকীয়ভাবে পরবর্তী স্টপেজগুলোতে বাস সামনে যাবে না বলে যাত্রীদেরকে নামাতে থাকে এবং নতুন কোনো যাত্রী উঠানো বন্ধ রাখে। এতে ওই ছাত্রীর আশঙ্কা ও সন্দেহ হলে তিনি বাস থেকে নামতে যান।
কিন্তু বাসের হেলপার দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কনট্রাক্টর তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। বাসের কনট্রাক্টর-হেলপারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। পরে অন্য বাসে চড়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের বিষয়টি জানান।
পরবর্তীতে সহপাঠীরা ওই বাসের হেলপার কনট্রাক্টরকে আটকের দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধন করে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা তুরাগ পরিবহনের অর্ধশত বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।
ওই ছাত্রীর ওপর সহপাঠী আশিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত হেলপার ও কনট্রাক্টর এবং বাসটি আটক না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।