হৃদয়ের রংধনুর ছাড়পত্র নিয়ে সেন্সর বোর্ডকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ

দেশের প্রথম পর্যটন নির্ভর চলচ্চিত্র ‘হৃদয়ের রংধনু’ এখনো সেন্সর ছাড়পত্র পায়নি। ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার প্রায় ২ বছর পূর্ণ হলেও ছাড়পত্র না পাওয়ায় সেন্সর বোর্ডকে এবার উচ্চ আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছেন।

শুটিংয়ের সময় ছবির কিছু দৃশ্য দেখে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর প্রযোজকের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এরপর শুটিং শেষে মুক্তির অনুমতি চেয়ে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হলেও দু বছর ধরে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেনা হৃদয়ের রংধনু।

১৯ এপ্রিল সকালে সেই নির্দেশনার একটি অনুলিপি ছবিটির পরিচালক রাজিবুল হোসেনও পেয়েছেন। গত ১১ এপ্রিল তার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ নির্দেশনা দিলেন।

ছবিটির পরিচালক জানান, ছবিটি আটকে না রেখে এটির সিদ্ধান্ত জানাতে সেন্সর বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।

একই অনুলিপি তথ্য মন্ত্রণালয় ও পর্যটন করপোরেশনেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।

রাজিবুল হোসেন আরও বলেন, ‘ছবিটি নিয়ে এর আগে আমরা সেন্সর বোর্ডে উকিল নোটিশ পাঠাই। তারা তার জবাব দেয়নি। এরপর গত ১১ এপ্রিল আমরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করি। এর প্রেক্ষিতেই ছবিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দিলেন হাইকোর্ট। এখন আমরা অপেক্ষা করছি, সেন্সর বোর্ড কী সিদ্ধান্ত দিচ্ছে- তার ওপর।’

এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার আজ (১৯ এপ্রিল) বেলা ৪টার দিকে বলেন, ‘এমন কোনও নির্দেশনা গতকাল পর্যন্ত আমার হাতে আসেনি। আজ সন্ধ্যায় বোর্ডে আমাদের একটা প্রদর্শনী আছে। তখন এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবো।’

জানা যায়, ‘হৃদয়ের রংধনু’ ছবি পরপর দুবার সেন্সর বোর্ড কর্তৃক প্রিভিউ করা হয়েছে। ফলে অনিশ্চয়তাই শুধু নয়, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কার কথাও বলেছেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রাজিবুল হাসান।

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ছবিটি প্রথম দেখেন। এর ৯ মাস পর গত বছরের ২৯ আগস্ট পর্যটনশিল্পের জন্য ছবিটি হুমকি উল্লেখ করে আটটি সংশোধনী দিয়ে প্রযোজক-পরিচালক বরাবর চিঠি দেয় সেন্সর বোর্ড।

এ ব্যাপারে পরিচালক তখন বলেছিলেন, ‘আটটি অভিযোগের মধ্যে দু-একটি অভিযোগসংক্রান্ত দৃশ্য বা বিষয় ছবিতেই নেই। বাকি অভিযোগগুলো সংশোধন করে ব্যাখ্যাসহ ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দিই। এরপর ১০ অক্টোবর ছবিটির আবার প্রিভিউ হয়। তারপর আর বিশেষ কোনও অগ্রগতি নেই।’