সময় শেষ হলেও শেষ হয়নি সড়ক সংস্কারের কাজ
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রীর সড়কটি চলাচলের অনুপযুক্ত। ইতোমধ্যে এই সড়ক সংস্কারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ঘোষিত সময় পার হয়েছে। এই সময় শেষ হওয়ার পর ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি বলছেন, ‘শিগগির সড়কটি ভালো হয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবার বাড্ডার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফোরামটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’-এর দ্বিতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রীর প্রধান সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। গত বছরের ডিসেম্বরে এক দশমিক ৩৫ কিলোমিটার রাস্তার এই উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গণি।
প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্যানেল মেয়র ওসমান গণি ঘোষণা দিয়েছিলেন, রাস্তার এই উন্নয়ন কাজ আগামী বছরের (২০১৮) জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আমরা চেষ্টা করব নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজগুলো শেষ করতে। মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে ওসমান গণির কাছে জানতে চাওয়া হয়- রাস্তাটির কাজ চলতি বছরের মার্চের মধ্যে শেষ হবে বলে অাপনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার কাজ কতোদিনের মধ্যে শেষ হবে?
জবাবে ওসমান গণি বলেন, এই রাস্তাটিতে সবসময় অনেক চাপ থাকে। যে কারণে কাজে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমাদের প্রধান প্রকৌশলী নিজে গিয়ে রাস্তার অবস্থা দেখে এসেছেন। আমরা আশা করছি শিগগির রাস্তাটি ভালো হয়ে যাবে।
এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা রাস্তাটি দেখে এসেছি। আমাদের যে বাজেট আছে তাতে আরও ৫০ ফিটের মতো রাস্তা সংস্কার করা যাবে। আমরা ওই জায়গাটুকুও সংস্কার করতে চাই। শিগগির কাজ সমাপ্ত করতে পারব বলে আমরা আশা করছি।
রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রীর প্রধান সড়ক উন্নয়নে ডিএনসিসির নেয়া প্রকল্পের মধ্যে আছে এক দশমিক ৩৫ কিলোমিটার প্রধান সড়ক, এক দশমিক ৮৭ কিলোমিটার ফুটপাত, খোলা নর্দমা এক দশমিক ৮৭ কিলোমিটার, আরসিসি ড্রেন এক দশমিক শূন্য তিন কিলোমিটার, ব্রিক ডেন দশমিক ৮৪ কিলোমিটার। এই উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেএসবিএল অ্যান্ড এমইল (জেভি)।