কোটা সংস্কার, অবশেষে আন্দোলনের স্থগিত ঘোষণা
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে কোটা বাতিলের ঘোষণা আইন আকারে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমদের কোটা সংস্কার চেয়ে চলমান আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং তার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই রাতে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত রাখব বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মামুন বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করার পর যদি বুঝি আমাদের ন্যায্য দাবি প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হয়নি, তখন আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি দেবো। যারা কোটার প্রাপ্য দাবিদার, তারা কোটা পাক, এটা আমরাও চাই। যেমন মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং প্রতিবন্ধী কোটার দাবিদারদের কোটা দিতে ওই চিঠিতে আহ্বান জানাব। তবে সেটা যেন প্রাপ্য পরিমাণযোগ্য হয়।’
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এ ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারীদের একটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তাদের দাবি যাচাই-বাছাই করার জন্য ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করেই তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন।
পরে গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে এর যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক জানান, তারা রাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করবেন। এর পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের মতামত জানাবেন।