সালমান খানের দাবি ফাঁসানো হচ্ছে তাকে

কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের একটি আদালত। এই অভিনেতার ৫ বছরের জেল হয়েছে। ১০ হাজার রুপি অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবুকে খালাস দিয়েছে আদালত।

১৯৯৮ সালে রাজস্থানের বিলুপ্ত প্রায় প্রাণি কৃষ্ণ হরিণ হত্যার ঘটনায় মামলা হয় এই বলিউড তারকাদের নামে। আদালত সেই মামলার রায় দিয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল)। সেখানে বলিউড ভাইজান সালমান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এতে তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তিনি আপিল করতে করার সুযোগ পাবেন।

রায় হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে সালমান খানের আইনজীবী এইচ এম সারস্বত দাবি করেন, সরকারের তরফ থেকে সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সপক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ দেয়া হয়নি। মামলা সাজাতে ভুয়া সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন সরকারি উকিল। এমনকি বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দুটির মৃত্যু হয়েছিল, তা-ও সরকারি কৌঁসুলি প্রমাণ করতে পারেননি। গত ২৮ মার্চ নিম্ন আদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি শেষ হয়।

বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারা অনুযায়ী সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ৫১ ধারার অধীনে সর্বোচ্চ সাজা ৬ বছর হওয়ার সুযোগ ছিলো। কিন্তু আদালত কিছুটা নমনীয় হয়ে তার বিরুদ্ধে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন।

৫২ বছর বয়সী সালমান এর আগে আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, হরিণগুলো এমনিতেই মারা গেছে। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য রাজস্থানে যান সালমান, সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবুসহ অন্যান্য সহশিল্পীরা। ১ এবং ২ অক্টোবর যোধপুরের কাছে কঙ্কনি গ্রামে তারা দুটি বিরল প্রজাতির কৃষ্ণ হরিণ শিকার করেন বলে অভিযোগ।

এদিকে বেআইনিভাবে জঙ্গলে ঢোকার অভিযোগে সালমান খান আর অন্য তিন তারকারে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ নম্বর ধারাতে মামলা এখনো চলছে। সেটির রায়ও খুব দ্রুত হবে বলে জানা গেছে।