এবার রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল ন্যাটো

ব্রিটেনে একজন সাবেক রুশ দ্বৈত গুপ্তচরের ওপর নার্ভ গ্যাস হামলার জের ধরে রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। এবার মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো সাত রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলেটেনবার্গ ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার দপ্তরে নিযুক্ত সাত রুশ কূটনীতিকের অনুমতিপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নবনিযুক্ত আরো তিন রুশ কূটনীতিককেও মস্কোয় ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ন্যাটো মহাসচিব আরো বলেন, রাশিয়ার ‘অগ্রহণযোগ্য ও বিপজ্জনক’ আচরণের পরিণতি হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়ে মস্কোর কাছে সুস্পষ্ট বার্তা পাঠানো হচ্ছে। স্টোলটেনবার্গ আরো বলেন, ন্যাটো জোটের সদরদপ্তরে রুশ মিশনের কূটনীতিক সংখ্যা ৩০ থেকে নামিয়ে ২০ জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ জোট। ন্যাটোর আগে ব্রিটেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আমেরিকা, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি বহু ইউরোপীয় দেশ রাশিয়ার প্রায় ১০০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

গত ৪ মার্চ ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরের একটি বেঞ্চের ওপর সাবেক রুশ দ্বৈত গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার ৩৩ বছরের মেয়ে ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর ব্রিটেন দাবি করে, রাশিয়ায় তৈরি নার্ভ গ্যাস- নোভিচক ব্যবহার করে ওই গুপ্তচরকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পরবর্তীতে সরাসরি এ ঘটনার জন্য মস্কোকে দায়ী করে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার।

রাশিয়া অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। মস্কো বলছে, ব্রিটেনসহ যেসব দেশে এই নার্ভ গ্যাস নিয়ে গবেষণা হয় সেসব দেশ থেকে এটির যোগান এসে থাকতে পারে। স্ক্রিপালের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে লন্ডনকে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো।

পশ্চিমা দেশগুলো থেকে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করছে। মস্কোর পক্ষ থেকে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।