দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঠাকুরগাঁও যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ ১৭ বছর ৬ মাস ১০ দিন পর ঠাকুরগাঁও আসছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধান মন্ত্রীর ঠাকুরগাঁও সফরকে ঘিরে নতুন আশায় বুক বেধেছি আমরা  নানামুখী উন্নয়নের দাবি তুলে ধরতে চাই আমরা। আমাদের প্রত্যাশা ঠাকুরগাঁও জেলা সহ আশেপাশের উন্নয়নে প্রয়োজনে সবকিছুই করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী ঠাকরগাঁও সফরে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত চার লেনের রাস্তাসহ মোট ৩৮ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৩৩ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। জানিনা  এতো গুলো প্রকল্পের মধ্যে আমাদের একটি সেতু আছে কিনা।

যে সেতুর অভাবে চার জেলার মানুষের চরম  ভোগান্তিতে পড়েছে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী- জয়গঞ্জ ঘাটে সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা, চার জেলার কয়েক লাখ মানুষ। আত্রাই নদের এ অংশে একটি সেতু হলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নসহ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগেড় জেলার সঙ্গে নীলফামারীর সরাসরি যোগাযোগ শুরু হবে। বর্তমানে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা এবং বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম, শিবরামপুর, নিজপাড়া, গোলাপগঞ্জ ও পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা হয়ে বা বীরগঞ্জের দশমাইল হয়ে সৈয়দপুর শহর দিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে নীলফামারী যেতে হয়। কিন্তু ঝাড়বাড়ী- জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে সেতু নির্মিত হলে নীলফামারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলে।
এতে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে।

আত্রাই নদের পূর্ব ও পশ্চিম দুই পারেই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারীর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সেখানে পড়ালেখা করে। শিক্ষার্থীরা বর্ষায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পার হয়। নদীর দুই পাড়ে বালুচর। যেসব শিক্ষার্থী সাইকেল নিয়ে আসে, তাদেরও বালুচর দিয়ে হেঁটে আসতে হয়। নীলফামারীতে পর্যটনকেন্দ্র ‘নীলসাগর’ আছে। এই এলাকার উন্নয়ন জন্য একটি সেতু খুব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর সেতু হলে দুই পারের মানুষের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।  তাই আমাদের চার  জেলার মানুষের সেতুবন্ধন চাই।

শেখ জাকির হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি