স্বাধীনতা উৎসবের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট

আজ ২৫শে মার্চ। ভয়াল কাল রাত এবং জাতীয় গণহত্যা দিবস। আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা উৎসবের আয়োজন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে একযোগে চলছে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকছে উৎসবে।

এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ থেকে নেয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেলে শহীদ মিনারে উৎসবের উদ্বোধন করেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।

উৎসবের শুরুতেই স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত সব শহীদের প্রতি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, জাতীয় সংগীত ও বিজয়ের গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা। পরে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন স্পন্দন নৃত্যসংগঠনের শিল্পীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা দলীয় সংগীত, শিল্পী আরিফ রহমান, শারমিন সাথী ময়না ও আবদুল হালিম খান একক সংগীত পরিবেশন করেন। দলীয় আবৃত্তি করেন প্রকাশ মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন এনামুল হক বাবু ও ফয়জুল আলম পাপপু। উদ্বোধনী দিনের শেষ আকর্ষণ ছিল সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিবেশনায় পথনাটক।

একই সঙ্গে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চে বিকেল ৫টায় শুরু হয় স্বাধীনতা উৎসব। উৎসবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলীয় সংগীত, একক সংগীত, আবৃত্তি ও পথনাটক পরিবেশন করা হয়।