সিরিয়ার আফরিন এখন তুর্কি বাহিনীর দখলে
সিরিয়ার আফরিনের পুরোটা এখন তুর্কি বাহিনীর দখলে। কুর্দি গেরিলাদের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে প্রায় দুই মাস অব্যাহত অভিযানের পর চূড়ান্ত জয় পেয়েছে তুর্কি বাহিনী। রোববার তুর্কি বাহিনী ও সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যৌথভাবে আফরিনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।
তুরস্কের সেনাবাহিনী জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় তুর্কি বাহিনী আফরিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। শনিবার নিজের একেপি পার্টির ষষ্ঠ কংগ্রেসে এক বক্তব্যে এরদোগান বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী আফরিনের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে প্রস্তুত। যে কোনো মুহূর্তে এ ব্যাপারে সুখবর দিতে পারব পারব আমরা।’ তিনি আরও বলেন, আফরিন দখলের পর তা আর সিরিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে না। খবর আনাদলু এজেন্সির।
তুর্কি বাহিনীর এক টুইটার বার্তায় বলা হয়, ‘তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি আফরিনের সিটি সেন্টার দখলে নিয়েছে।’ ওই এলাকায় কুর্দি বাহিনী কোনো ল্যান্ডমাইন বা অন্য ধরনের বিস্ফোরক পুঁতে রেখে গেছে কিনা এখন তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, আফরিনের সিটি সেন্টারে তুরস্কের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এফএসএ’র শেয়ার করা কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা রাস্তায় আনন্দ করছে, বিজয়ের সংকেত দেখাচ্ছে ও পতাকা উড়াচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওয়াইপিজিকে হটানোর লক্ষ্যে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আফরিনে সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক ও এফএসএ। সিরিয়াভিত্তিক কুর্দি গোষ্ঠী পিওয়াইডি ও এর সশস্ত্র সংগঠন ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে তুরস্ক। সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত দল পিকেকের শাখা মনে করে তারা। তুরস্কের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে পিকেকে। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত লক্ষাধিক তুর্কি প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আফরিনসহ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল পিওয়াইডি ও ওয়াইপিজি। আইএসবিরোধী যুদ্ধে সংগঠন দুটিকে এসডিএফ নামে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।