পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে স্বজন হারা আত্মচিৎকার, স্তম্ভিত জাতি
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে আর্মি স্টেডিয়ামে। এর আগে বিকাল ৪ টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মরদেহবাহী বিমানটি। সেখান থেকে মরদেহগুলো নেয়া হয়েছে আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে নিহতদের জানাজা পড়ানো হয়। পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে যেন চলছে কান্নার মাতম।
জানাজা শেষে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে অবায়দুল কাদের, বিমান মন্ত্রী শাহজাহান কামাল এবং মাননীয় স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এক এক করে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুরো স্টেডিয়াম যেন স্বজনদের কান্নায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। স্বজন হারা আত্মচিৎকারে ফেটে পড়ে সবাই।
এর আগে স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে নিহত ২৩ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এর পর পৌনে ৯টার দিকে দূতাবাসের উদ্যোগে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেপাল সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরাও।
উল্লেখ্য, ১২ মার্চ দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।
বিমানটিতে ৩৬ বাংলাদেশিসহ ৭১ আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন।