ডিআরইউ চত্বরে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালের আরও একটি জানাজা

। স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ ফয়সালের  আরও একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ডিআরইউ চত্বরে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার বিকাল ৫ টা ২৩ মিনিটে ২৩ নিহতের জানাজা দেশে জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। জানাজা পড়ান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক।

এরও আগে দুর্ঘটনার সাতদিন পর সোমবার সকালে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করে নেপাল। পরে নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে তাদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শরীয়তপুরের সন্তান ফয়সাল আহমেদ বৈশাখী টেলিভিশনের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সংগ্রহ করতেন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। র্য়েশেষ গত ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরের সংবাদ সংগ্রহ করেন তিনি। পরে ঢাকায় ফিরে ১১ মার্চ থেকে পাঁচদিনের ছুটিতে যান তিনি।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১০ বাংলাদেশি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এরপর আহত ছয় বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়। রোববার বিকেলে আহত শাহিন বেপারীকে দেশে ফিরেয়ে আনা হয়। এর আগে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত দেশে ফেরেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল।