হাসপাতালে ভর্তি পাইলট আবিদের স্ত্রী আফসানা খানম

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত নিহত হন পাইলট আবিদ সুলতান। তার বাড়ি নওগাঁয়। আবিদ জেলার রানীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর রাণীনগর গ্রামের খাঁন পাড়ার মরহুম এমএ কাশেম খাঁনের ছেলে। তার বাবাও পাইলট ছিলেন।

পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে আগারগাঁওয়ের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। রোববার রাজধানীর উত্তরার বাসায় স্ট্রোক করেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্কের কর্মকর্তা শিউলি আক্তার নীলা বলেন, আজ সকালে আফসানা খানম ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। দুপুর ১২ টায় তাকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ড. বদরুল আলমের অধীনে আফসানা খানমের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি করার পর একটি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে অপারেশন সম্প্ন্ন হয়েছে। এখন তিনি হাসপাতালের ৪র্থ তলায় আইসিইউতে ১২ নং বেডে রয়েছেন। আগামী ১২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।

গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

বিমানটিতে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।