পতেঙ্গা এলাকায় নির্মিত হচ্ছে নতুন ৪টি জেটি
চট্টগ্রামে প্রায় ১২ বছর পর ১৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় নতুন ৪টি জেটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।চলতি বছরই এ জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ২০০৭ সালে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটি নামে সর্বশেষ জেটি নির্মাণ করা হয়। এবার জেটি স্থাপনের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান ফজলে একরাম চৌধুরী বলেন, এখানে জট বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজের প্রডাক্টিভিটি কম যাচ্ছে। আমদানিকাররা বিভিন্ন কষ্ট পাচ্ছে। সিসিটি বা এনসিটি নির্মাণের পর ৮ থেকে ১০ বছর কাজ ছাড়াই খালি ফেলে রাখতে হয়েছিলো যন্ত্রপাতি স্থাপন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, জেটি নির্মাণের প্রাথমিক কাজগুলো নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী। আর এই জেটি যখন চালু হবে। তখন আমাদের বন্দরের কার্যক্রমে সময় কম লাগবে।
২০১৯ সাল থেকে পুরোদমে অপারেশনে যাবে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল। এখানকার জেটিগুলোতে জাহাজ ভেড়ার পাশাপাশি ১০ হাজারের বেশি কন্টেইনারও রাখা যাবে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হলেও অবকাঠামোগতভাবে অনেকটা পিছিয়ে আছে বন্দরটি। ১৯৫৮ সালে জেনারেল কার্গো বার্থ নির্মাণের পর ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয় চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল-সিসিটি। আর সবশেষ ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয় নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটি। প্রতি বছরই ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ হারে আমদানি-রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বাড়েনি কোনো জেটি।
জেটির নাম নির্মাণ সময় অপারেশন শুরু
জেনারেল কার্গো বার্থ-জেসিবি ১৯৫৮ ১৯৬০
চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল-সিসিটি ১৯৯০ ২০০০
নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল-এনসিটি ২০০৭ ২০১৫
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, প্রচুর পরিমাণ আমদানি বেড়ে গেছে। পাথর কয়লা থেকে শুরু করে লোহা পর্যন্ত আমদানি হয়। এইগুলো জাহাজগুলো এসে দীর্ঘ ধরে অপেক্ষা করছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভাল প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে এটাকে দ্রুত ব্যবহারের উপযোগী ছেড়ে দেওয়া।