‘এ দেশে একটি শিশু ও পথশিশু থাকবে না, প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে’

স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন দেশ গড়ার জন্য। তিনি যদি আরেকটু সময় পেতেন, তবে বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারতো বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজিত শিশু সমাবেশে তিনি বক্তৃতা করছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের আন্দোলন-সংগ্রাম-ত্যাগ-তিতীক্ষার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর জাতির জনক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলায় মনোনিবেশ করেন। তিনি চেয়েছিলেন উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন তিনি। আরেকটু সময় পেলে এই বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারতো। কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। পঁচাত্তরের সেই কালরাতে তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়।

ওই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের সময় প্রধানমন্ত্রী তার বোন শেখ রেহানাসহ বিদেশে ছিলেন বিধায় বেঁচে গেছেন জানিয়ে বলেন, শরণার্থী হিসেবে ছয়টি বছর কেটেছিল আমাদের দুই বোনের। এরপরও আমরা দেশে ফিরে বাবার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ শুরু করি।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পর ২১ বছর আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই দেশকে এগিয়ে নিতে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ দেশে একটি শিশু ও পথশিশু থাকবে না। প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে। সুন্দর জীবন পাবে। মাথা উঁচু করে চলবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আজকেই খবর পেয়েছি। জাতির জনকের জন্মদিনে এতো বড় স্বীকৃতি জাতির জন্য অনেক বিশাল অর্জন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তার সরকারের নানা উন্নয়ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।