মুন্সিগঞ্জে গজারিয়ায় অস্ত্রপাচার পর প্রসুতির মৃত্যু

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অস্ত্রপাচার(সিজার) করার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্য ওই প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের নাম সুলতানা (২৫)। সে উপজেলার গুয়াগাছিয়া এলাকার ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী। এর আগে সিয়াম(১২) ও জিহাদ(৬) নামে দুই ছেলে ছিল তার। গতকাল সিজারের মাধ্যেমে একটি মেয়ের জন্ম দেন তিনি। নিহতের বড় ভাই মো. জুয়েল জানান, আমার বোনকে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে, সিজারের মাধ্যেমে সন্তান প্রসবের জন্য হালিমা নুরুল জেনারেল হাসপাল এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যাই।

ওই ক্লিনিকের ডাক্তার ফৌজিয়া ও ডাক্তার রেজাউলের কথায় সুলতানাকে ভর্তি করি। আমর বোনের আগের শারীরিক পরীক্ষার কাগজ পত্র বাড়িতে আনতে যাই। পরে এসে দেখি আমার বোনকে তারা সিজার করেছে। ক্লিনিকে এসে জানতে পারি সুলতানার সিজার করা হয়েছে। অস্ত্রপাচারের সময় ডাক্তার আমার বোনের জরায়ু, ফুল ও নাড়ি কেটে ফেলে। এতে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে সেখানে। সেখান থেকে ডাক্তারদের পরামর্শে বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় তাকে আর বাচাঁনো সম্ভব নয়। বোনকে বাচাঁনোর জন্য মগবাজারের একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে সে মারাযায়।

সুলতানার মামা মো. গুলজার হোসেন বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনেই আমার ভাগনি মারা গেছে। আমরা যেন ওই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে না পারি, সে সজন্য তারা প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে হালিমা নুরুল জেনারেল হাসপাল এন্ড ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে গেলে তা তালাবন্ধ পাওয়া যায়। ডাক্তার ফৌজিয়ার মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও সে রিসিভ করেননি। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তার ও ক্লীনিকের মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে আমি নিজে ওই ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে গেলে তা তালাবন্ধ পাই। পুলিশ বিষটির তদন্ত করছে। তিনি আরো বলেন, শুনেছি ঘটনার ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মাধ্যেমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি