ব্যোমকেশ এবার আশির কোঠায়, ‘বিদায় ব্যোমকেশ’

মুক্তি পেল ‘বিদায় ব্যোমকেশ’-এ আবীরের লুক। বুদ্ধি দীপ্ত দুটি চোখ। তাতে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। পরণে সাদা ধুতি-পাঞ্জবী। তবে এবার হ্যান্ডসাম হ্যাঙ্ক নন ব্যোমকেশবাবু। মুখের চামড়ার ভাঁজ পড়েছে। একমাথা পাকা চুল। সিনেপ্রেমীদের ব্যোমকেশ এবার বৃদ্ধ।

দেবালয়ের লেখা এই গল্পে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। আশি বছরের ব্যোমকেশ ও তার নাতি সাত্যকির চরিত্রে অভিনয় করছেন নায়ক। সদ্য সামনে এসেছে আশির ব্যোমকেশের লুক। যা চমকে দিয়েছে গোটা টলিপাড়াকে।

পর্দায় ব্যোমকেশ হিসেবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে আগেও দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এবার তিনি আশি বছরের বৃদ্ধের বেশে। প্রস্থেটিক মেকআপ করেও ব্যোমকেশ যেন তার স্বকীয়তা হারায়। মুম্বই থেকে আসা মেকআপ শিল্পী ধনঞ্জয় প্রজাপতি ও তাঁর টিমকে তেমনই ব্রিফ করা হয়েছিল। তার পরে এই লুক সেট হয়। মেকআপ করতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগত। নায়ক বলেন, “মেকআপ করার চেয়েও তোলা অনেক বেশি কঠিন”।

অঞ্জন দত্ত ও অরিন্দম শীলের হাত ধরে ব্যোমকেশ হালফিল সিনে পরদায় বারবার ফিরেছে। তার চেয়ে কতটা আলাদা এই ব্যোমকেশ! পরিচালক দেবালয়ের কথায়, “আমার ইচ্ছে, এই পরম্পরাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ঘরোয়া, বন্ধুবৎসল ও স্নেহশীল ব্যোমকেশকে আরও কাছের করে তোলা। আমরা সব সময়ে দেখেছি, ব্যোমকেশের স্ত্রী ও বন্ধু তার পাশে রয়েছে।

ব্যক্তিজীবনের সুস্থিরতা তাকে বাইরের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করেছে। কিন্তু এ বার ঝড় তার ঘরেই। দু’বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছেলেকে খুঁজে বের করতে অসফল বৃদ্ধ ব্যোমকেশ। ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি থেকেই এই গল্পের শুরু”। অভিনেতা জানান, ব্যোমকেশের এখন সত্যি-মিথ্যে বিচার করার মাপকাঠি, মূল্যবোধ অনেকটা বদলে গিয়েছে। তার পাশাপাশি নাতি সাত্যকির সঙ্গে দাদু ব্যোমকেশের সম্পর্কের সমীকরণ, সাত্যকির চোখ দিয়ে সত্যান্বেষীকে দেখা। এই বিষয়গুলিও ছবিতে ফুটে উঠবে।