নগরবাসীর জন্য ভাড়ায় টাকায় ফ্লাট কেনার সুযোগ!

নগরবাসীদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষেরই স্বপ্ন নিজের বাড়ির। ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও অধিকাংশ নগরবাসী ভাড়া থাকেন। প্রতিমাসে তাদের রোজগারের বড় একটা অংশ চলে যায় বাসা ভাড়াতেই। ফলে মাস শেষে সঞ্চয় থাকে না বললেই চলে। তাই প্লট, ফ্লাট কিংবা বাড়ি কেনার কথা চিন্তাই করতে পারেন না।

নগরের নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য সূবর্ণ সুযোগ আনলো নিটল-নিলয় গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নিটল আয়াত প্রপার্টিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের যাত্রার শুরুতেই ভাড়ায় টাকায় ফ্লাট কেনার সুযোগ দিচ্ছে। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে নিটল আয়াত প্রোপার্টিজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ এবং নিটল আয়াত প্রোপার্টিজের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এসময় মাতলুব আহমেদ বলেন, দেশের মানুষ যেন একসঙ্গে বাড়ি এবং গাড়ি দুটোই সহজে কিনতে পারে সেজন্য আমরা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। নিটল আয়াত প্রপার্টিজ লিমিটেড থেকে যেকেউ ভাড়ার টাকায় ফ্লাট কিনতে পারবেন। ফ্ল্যাটের দামের ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে রেডি ফ্লাটে বসবাসের জন্য বুঝে নিতে পারবেন। বাকি টাকা ২০ বছরের সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। যারা কিস্তিতে ফ্লাট কিনবেন তারা বিনা ডাউন পেমেন্টে কিস্তি সুবিধায় টাটার গাড়ি কিনতে পারবে।

মাতলুব আহমেদ, ঢাকা শহরের অনেক মানুষের স্বপ্ন আছে তার সাধ্যমত একটা ফ্লাট কেনার। কিন্তু তাদের সাধ্য নেই এককালীন মূল্য পরিশোধ করার। অনেক সময় ফ্লাট কেনার জন্য টাকা পরিশোধ করেও বছরের পর বছর রিয়েলস্টেট কোম্পানির দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় ফ্লাট বুঝে নেয়ার জন্য। এ অসুবিধা দূর করতে সহজ কিস্তিতে ফ্লাট দিচ্ছে নিটল আয়াত প্রপার্টিজ লিমিটেড। আপনি যেদিন ফ্লাট কেনার জন্য ফ্লাটের দামের ২০ শতাংশ পরিশোধ করবেন সেদিনই ফ্লাটের চাবি বুঝে নিতে পারবেন।

মাতলুব আহমেদ জানান, ২০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা দামের ফ্লাটও নিটল আয়াত প্রপার্টিজ লিমিটেডের মাধ্যমে কিস্তিতে কেনার সুযোগ রয়েছে। ধরুন আপনি ২০ লাখ টাকা দামের ফ্লাট কিনতে চান। তাহলে আপনাকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। বাকি টাকা ২০ বছরে ২৪০ টি কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। ঢাকায় এমন সহজ কিস্তির সুবিধা আর কোনো রিয়েলস্টেট কোম্পানি দিচ্ছে না।

তবে ২০ বছরের কিস্তি সুবিধায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্লাট কিনলে ৮ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ফ্লাটের ডাউন পেমেন্ট বাদবাকি টাকার উপর এই সুদ ধার্য হবে। কিস্তির টাকা প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে ফ্লাটের দামের ৩ শতাংশ প্রসেসিং ফি ও ৫ হাজার টাকা আবেদন ফি।

নিটল আয়াত প্রোপার্টিজের রিজিওনাল ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ’ঢাকা শহরের যেকোনো প্রান্তে আমাদের মাধ্যমে ফ্লাট কেনা যাবে। ফ্লাট কেনার জন্য আবেদন ফি ৫ হাজার টাকা। সঙ্গে ফ্লাটের মুল দামের ৩ শতাংশ প্রসেসিং ফি দিতে হবে। ডাউন পেমেন্ট দিয়েই ফ্লাটের চাবি বুঝে নেয়া যাবে।