টুইটার যুদ্ধে লিপ্ত হলেন গিবস ও অশ্বিন

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার হার্সেল গিবস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০১০ সালে। আর ভারতের বর্তমান স্পিনভাণ্ডারের অন্যতম অস্ত্র রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২২ গজের পিচে দুইজনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। তবে, মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বৈরথে তো বাধা নেই। আর টুইটারে এমনই এক বাগযুদ্ধে লিপ্ত হলেন গিবস ও অশ্বিন। এমনকি গিবসের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টিও উঠে আসে এ টুইটার যুদ্ধে।

ঘটনার শুরু সোমবার অশ্বিনের একটা টুইটার পোস্ট থেকে। নাইকি কোম্পানির একটি বুটের ছবি দিয়ে ৩১ বছর বয়সী তামিলনাড়ুর এ স্পিনার লিখেছিলেন, ‘হেই বন্ধুরা, এইমাত্র আমার হাতে নাইকির নতুন বুট এসেছে। এটার ডিজাইন আশ্চর্য এবং ফোমের প্রযুক্তির কারণে এটি খুবই হালকা ও আরামদায়ক। নিঃসন্দেহেই আমার পরা সেরা রানিং বুট নিয়ে ওড়ার জন্য আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’ এ পোস্টের নিচে ৪৩ বছর বয়সী সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার মজা করে দ্রুতই কমেন্ট করেন, ‘আশা করি তুমি এখনকার চেয়ে একটু দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারবে অশ্বিন।’

কিন্তু এই কৌতুকপূর্ণ মন্তব্যের বিপরীতে অশ্বিন তীব্র এক প্রতিউত্তর দেন, ‘অবশ্যই না, যতটা দ্রুত তুমি করেছিলে বন্ধু। দুঃখজনকভাবে আমি খুশি নই, যেমনটা তুমি ছিলে। কিন্তু আমি চমৎকার নৈতিক মানসিকতা নিয়ে খুশি। কারণ আমি খেলা নিয়ে ফিক্সিং করি না, যেটা আমার প্লেটে খাবার এনে দেয়।’

মূলত ১৯৯৯ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে গিবসের জড়িত থাকার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন অশ্বিন। যেখানে হানসি ক্রনিয়ে, নিকি বোয়েরাও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বিষয়টা এখানেই শেষ হয়নি। নিজের প্রথম মন্তব্যটা যে স্রেফ কৌতুক ছিল সেটা ব্যাখ্যা করেন গিবস। অশ্বিনের ঝাঁঝালো প্রতিক্রিয়ার জবাবে গিবস আবার লিখেছেন, ‘দেখছি, তুমি মজা নিতে পার না। যাই হোক, দ্রুতগতিতে এগুতে থাক।’

এর উত্তরে অশ্বিনও লিখেছেন, তিনিও আসলে মজাই করেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমার প্রতিউত্তরও কৌতুকই ছিল। কিন্তু দেখুন, লোকে ও আপনি তা কিভাবে নিয়েছে। আমি পুরোপুরি মজা করেছি বন্ধু। কখনো আমরা একসাথে খাওয়া-দাওয়া করবো।’