খালেদার রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেলেন আইনজীবীরা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি আজ হাতে পেয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। আজ সোমবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে এ অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায়ের দিন বিশেষ জজ আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েন। আজকে যে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে, তার পৃষ্ঠা সংখ্যা ১ হাজার ১৭৪ । এ প্রসংগে বেগম জিয়ার অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার রেডিও তেহরানকে বলেন, রায়ের কপি নিয়ে তারা পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে এবং একই সাথে তাঁর জামিনের জন্যও আবেদন করা হবে।

ওদিকে , বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ার পর এখন আইনের ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলোও প্রদান করছে না। আজ সোমবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন আইনের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন না। তাকে একটি নির্জন কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে, যা কোনোমতেই এই স্বাধীন দেশের আইনের মধ্যে পড়ে না। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই সরকার আগামী নির্বাচনে নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে তাঁকে ‘মিথ্যা মামলায়’ সাজা দিয়ে কারাবন্দী করেছে। তবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল দলীয় সভায় ইঙ্গিত দিয়েছেন , কারাবন্দী খালেদাকে ছাড়াই বিএনপিকে নির্বাচনে চায় আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই বলছে খালেদা জিয়া জেলে যাওয়াতে তাদের দল আগের চেয়েও শক্তিশালী। তাঁর অনুপস্থিতিতে যে দল এত ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী সেই দলের নির্বাচনে যেতে অসুবিধা কী? বেগম জিয়াকে বাদ দিয়েও তারা নির্বাচনে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘এ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বিএনপিকে নিয়েই আমরা সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই।’

তাছাড়া, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জোরালো কর্মসূচি দিতে পারে না বলে নিজেদের অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য তারা শান্তিপূর্ণ শব্দটি ব্যবহার করছে। তারা যখনই সুযোগ পায় তখনই বিশৃঙ্খলা করে। সেটাই তাদের আসল রূপ। এখন যা হচ্ছে সেটা হলো মুখোশ।