স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে সভা ডেকেছে এনবিআর

সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিগারেটের প্যাকেটে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামী মঙ্গলবার এক সভার আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।

সভায় অংশগ্রহণের জন্য দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিডেট এবং বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) এর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিংবা এর অধীনস্থ জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে ওই সভায় ডাকা হয়নি। অথচ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই প্রধান অংশীদার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটানোর এই প্রচেষ্টা তামাকবিরোধীদের মনে নতুন শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নে শেষ পর্যন্ত তামাক কোম্পানির পরামর্শই চূড়ান্তভাবে গৃহীত হতে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটের উপরিভাগে মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলেও বিসিএমএ কর্তৃক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট গণবিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা প্রথমে তিন মাস এবং পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।

এর পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একই বছরের ২৪ আগস্ট এক পত্রের মাধ্যমে সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উক্ত গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায়। আইন অনুযায়ী সঠিক পন্থায় দেশে তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে তামাকের মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে না। তামাকের বিরূপ প্রভাব উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।