খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২৫ মার্চ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার রাজধানীর বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালত-২-এ খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন। তবে আজ বিডিআর মামলা থাকায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি।

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন দাখিল করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। এরও আগে গত ২ জানুয়ারি আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ মামলার চার্জ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন আদালত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা আমাদের বিষয় নয়। তাকে এ মামলায় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনকে (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মধ্য দিয়ে সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদসহ (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ১৬ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৬ জন আসামির মধ্যে ৬ আসামি মারা গেছেন।