‘চাকরির নামে ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায়’

চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারণার কথা হরহামেশাই শোনা যায়, কিন্তু চাকরি নেয়ার নাম করে প্রতারণা একটু ভিন্নই বটে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। সেখানে সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি খুঁজতে এসে ওই প্রতিষ্ঠানের নামী ব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে সময়-সুযোগ বুঝে তাদের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিকট হতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ঘটনাটি প্রসঙ্গে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রওশন আক্তার নামে এক নারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করেন। আর তার ফাঁদে পা দেন একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। রওশন ওই এমডির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এরপর একদিন তাকে বাসায় ডাকেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। সে অনুযায়ী ওই এসডি বাসায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনজন পুরুষ বাসায় ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। এরপর রওশনকে পাশে বসিয়ে অশ্লীল ছবি তোলা হয়। দুই লাখ টাকা না দিলে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় এমডিকে।

এমডি সাহেব অসহায় হয়ে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রতারকদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে প্রেরণ করেন। বাকী এক লক্ষ টাকা দ্রুত প্রদানের জন্য তাকে মারধর করে। টাকা না দিলে অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

প্রতারকদের দাবি অনুযায়ী তাদের এক লাখ দেয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এমডি। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম প্রতারক রওশন আক্তারকে গ্রেফতার করেন। এ সংক্রান্ত একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।