টাইগারদের নতুন ফরম্যাট নিয়ে চিন্তিত নন উপুল থারাঙ্গা

গতকাল মোহাম্মদ মিঠুনের ‘এন্ট্রি’ ধরলে গত এক মাসে ৩৩ জন ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন জাতীয় দলে। পরিবর্তনের সবচেয়ে জোরালো ঝড়টা গেছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, একেবারে আনকোরাই ছয়জন! তাতে আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলটাকেই নতুন মনে হতে পারে শ্রীলঙ্কানদের। তবে উপুল থারাঙ্গার এতে আপত্তি রয়েছে। বিপিএলে খেলে যে জাকির কিংবা মেহেদী হাসানদের চেনা হয়ে গেছে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানসহ সফরকারী দলের অনেকেরই।

আধুনিক ক্রিকেটে প্রযুক্তির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কেউই সুরক্ষিত নয়, ভিডিও পর্যবেক্ষণ থেকে নবাগতের দুর্বলতা প্রতিপক্ষ খুঁজে নেয় দ্রুতই। সে কারণে দুর্দান্ত অভিষেকের পরও কত তরুণ হারিয়ে গেছে সময়ের প্রবাহে! তবে নতুনের সংখ্যাটা অস্বাভাবিক বেশি বলেই টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের ধন্দে পড়ে যাওয়া সংক্রান্ত সম্ভাবনার সরু রেখা দেখছেন অনেকে। যদিও গতকাল অনুশীলনের পর সংবাদ সম্মেলনে সফরকারী দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা থারাঙ্গার মনে এ জাতীয় কোনো সংশয় নেই, ‘আমাদের দলটার দিকে তাকান, আমাদের বেশ কয়েকজন বিপিএলে খেলেছে। তাই ওদের নতুন খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। দলটা নতুন, এই নতুনরা বিপিএলে ভালোও খেলেছে। তবে আমরা ওদের ভিডিও দেখেছি। তাতে ওদের সম্পর্কে একটা ধারণা আমরা পেয়েছি।’

অদল-বদলের ধাক্কায় খোলনলচে পাল্টে ফেলা বাংলাদেশ দল সম্পর্কে আগাম ধারণা পেলেও আজকের মিরপুরের উইকেট সম্পর্কে গতকাল নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি থারাঙ্গা, ‘কাল (আজ) দুপুরে উইকেট দেখার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। আশা করছি এটা ভালো উইকেট হবে। ওয়ানডে সিরিজে আমরা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের উইকেটে খেলেছি। প্রথম দুই ম্যাচের উইকেট ভালো ছিল। কিন্তু পরের ম্যাচগুলো ধীরগতির উইকেটে খেলেছি। টেস্ট ম্যাচে আবার বোলিং সহায়ক উইকেট পেয়েছি। আশা করছি কাল ভালো উইকেটেই খেলা হবে।’

ভালো উইকেটে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে আগাম ধারণা আর এই সফরের অভিজ্ঞতা থেকে ভালো কিছুই আশা করছেন উপুল থারাঙ্গা, ‘আমরা এখনো পর্যন্ত ভালো করেছি— ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আর টেস্ট সিরিজ জিতেছি। তাই দলে আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা ছন্দে আছি। দলে নতুন কিছু খেলোয়াড় যোগ হয়েছে। ওদের নিয়ে আমরা ছন্দটা ধরে রাখতে চাই। সবাই সে জন্য মুখিয়ে আছে।’

হতাশার সমুদ্র পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেই চন্দিকা হাতুরাসিংহের অধীনে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট আর টেস্ট সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তাতে সফরের শেষাংশে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সামান্য গা-ঢিলেমি করতে পারে সফরকারীরা, সে সম্ভাবনা ক্রিজে গার্ড নেওয়ার আগেই মন থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন থারাঙ্গা, ‘এই সিরিজটাও আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডেতে আমরা দেড়-দুই বছর ধরে ধারাবাহিক ছিলাম না। তাই এই সিরিজ দিয়ে সফরটা আমরা ভালোভাবে শেষ করতে চাই।’ এই চাওয়া-পাওয়া মেলানোর ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি, ‘এখানকার উইকেট আর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি। বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই আমরা খেলেছি, তাই ওদের সামর্থ্য সম্পর্কেও জানি। ওদেরও একই সুবিধা আছে, ওরাও আমাদের ভালো করে চেনে-জানে। তবে ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজ জেতার কারণে আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।’