প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার আগে থাকে ইন্টারনেটের সীমিত গতি!

হঠাৎ করেই ইন্টারনেট নেই রোববার রাত দশটার পর পরই। মোবাইল ডাটা থেকে শুরু করেই দেশের সকল ইন্টারনেট প্রায় আধা ঘণ্টার মত বন্ধ ছিল সারা বাংলাদেশে। এসএসসিতে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আগামী সবগুলো পরীক্ষার সকালে আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখতে সব আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টা পরীক্ষামূলকভাবে দেশের সব ইন্টারনেট প্রোভাইডারের ব্যান্ডউইথ প্রতি সেকেন্ড ২৫ কিলোবিটের মধ্যে সীমিত রাখা হয়। এসএসসি পরীক্ষা যেদিন যেদিন চলবে সেদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে। সবাই যার যার মত ইন্টারনেট চালাচ্ছে। রাত দশটার পরেই বন্ধ হয়ে যায় নেট। তবে শুধুমাত্র ঢাকায় নয়। সারাদেশেই এই নেট বন্ধ ছিল।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, “আজ রাতে এবং আরও ১০ দিন নির্দিষ্ট সময়ে এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে সব ধরনের আইএসপি, মোবাইল অপারেটর ও ওয়াইম্যাক্স অপারেটরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

এর মধ্যে রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার বিষয়টি হবে পরীক্ষামূলক। আর বাকি দশ দিনের বিষয়টি কার্যকর হবে পরীক্ষা শুরুর সময় ধরে।

যেদিন যখন ইন্টারনেটে কড়াকড়ি

১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (ক্যারিয়ার শিক্ষা)

১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (পদার্থবিদ্যা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং)

১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ)

১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়)

১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান তত্ত্বীয়, কৃষি শিক্ষা তত্ত্বীয় ও সংগীত) এবং বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা (আরবি, সংস্কৃত, পালি, কর্মমুখী শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, বেসিক ট্রেড, চারু ও কারুকলা)

১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (জীব বিজ্ঞান, অর্থনীতি)

২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (হিসাব বিজ্ঞান)

২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা (বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত)