হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, সাধারণ মৌসুমে অর্থাৎ এখন ঢাকা থেকে জেদ্দা পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সব ধরনের করসহ ৩৮ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪৮ হাজার টাকা এবং বাংলাদেশ বিমান ৫২ হাজার টাকা নিয়ে ওমরা পালনকারীদের জন্য টিকিট সরবরাহ করছে। অথচ হজের সময় সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে এর আড়াই গুণ বেশি বিমান ভাড়া আদায় করা হয়; যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও জুলুমের পর্যায়ে পড়ে।
তারা বলেন, ২০১৭ সালে সব ধরনের করসহ হজ যাত্রীদের ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৩ টাকা। এ বছর পুনরায় ‘বিমান যাওয়ার সময় হজযাত্রী নিয়ে যায়, আসার সময় খালি আসে’ এ খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে প্রায় ১ হাজার ৬৩৩ ডলার বিমান ভাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায়। তাদের যুক্তিমতই হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কখনই স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুনের বেশি হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল-নাসের সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিবেচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক অন্য সব এয়ারলাইন্সও যেন হজযাত্রী পরিবহনের সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সব এয়ারলাইন্সকে রিফুয়েলিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল ল্যান্ডিংয়ের সুবিধা দিয়ে হজযাত্রী পরিবহণ করার অনুমতি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য মৌসুমের চাইতে হজ মৌসুমে যাত্রীদের কাছে থেকে বিমান ভাড়া বাবদ কোনোভাবেই যেন দ্বিগুন অর্থাৎ ১ লাখ টাকার বেশি অর্থ আদায় করা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল বাতেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হক, নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।