প্রশ্নফাঁস রোধে ফেসবুকে ফিল্টারিং-মনিটরিংয়ের উদ্যোগ

প্রশ্নফাঁস রোধে ফেসবুক ফিল্টারিং ও মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক ফিল্টারিং ও মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে আমরা এই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারবো।’ বুধবার দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) পাঁচ দিনব্যাপী দেশের বৃহৎ ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৮ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এই বিষয়টা কিন্তু বোঝা দরকার। ফেসবুক কখনো প্রশ্নপত্র ফাঁস করে না। ফেসবুকের মাধ্যমে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়। ’ মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘ফেসবুককে মনিটরিং করা কিংবা ফিল্টারিং করার প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারিনি। সেজন্য আমাদের ফেসবুকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ফেসবুক যদি আমাদের সঙ্গে রেসপন্ড করে তখন আমরা এটার পেছনে লেগে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করতে পারি।’

প্রশ্নফাঁস রোধে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মোস্তাফা জব্বার বলেন,‘ কোনো দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দিলেও ফেসবুক কিন্তু ঠিকই চালানো সম্ভব। আমাদের দেশেও এটা দেখেছি। যখন বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল তখন তারা প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তারা ফেসবুক ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ পারেনি।’

এই সমস্যার সমাধানের উপায় বাতলে দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা যে যাওয়াটাতে যাওয়ার চেষ্টা করছি সেটা হলো আমরা যাতে ফেসবুকের ফিল্টারিং করতে পারি, মনিটরিং করতে পারি, খারাপ জিনিসগুলোকে যেনো বর্জন করতে পারি, ভালো জিনিসগুলোকে যেনো পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারি আমি এটা প্রত্যাশা করি।’

সবার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়ার আশাবাদ জানিয়ে এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, আমরা ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই প্রযুক্তির দুয়ারে পৌঁছাতে পারবো। শিশু থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য রাজনীতিবিদ সকলের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করা এটা আমাদের কাছে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

মন্ত্রী জানান তাকে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সকলের জন্য ইন্টারনেট ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ নিতে নির্দেশ দিয়েছে। মোস্তাফা জব্বার সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন।