স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও সরকার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয়নি : মিশা সওদাগর

বাংলাদেশি ছবির খলচরিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান কিছু দিক নিয়ে কথা বলেন তিনি। চলচ্চিত্রের বর্তমান সঙ্কটে সরকারের নজরদারি নিয়েও তিনি কিছুটা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

‘যদি একটু সময় পেতাম’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর বলেন যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন করতে হলে বেসরকারিভাবে এগোতে হবে। সরকারের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা নাকি পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ‘বাংলা ছবি বাংলাদেশে যদি আরও সঠিকভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে ভালো হতো। আমরা কিন্তু সরকারিভাবে কোনো হেল্প পাব না। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও সরকার চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেয়নি। অতএব আমরা কতটুকু পাব, তা কেউ বলতে পারে না। বেসরকারিভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশে একটা বিরাট গোষ্ঠী আছে, যারা ভালো ছবি পাচ্ছে না। ভালো ভালো অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

ছবিপাড়া নামে পরিচিত কাকরাইল এখন স্থবির। আমরা ভালো গান পাচ্ছি না। দশ বছরে চলচ্চিত্রে ভালো কোনো গান নেই। এগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তারপরও তাঁদের সাধুবাদ, যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণা করছেন না। সবাই মিলে যৌথভাবে ভালো একটা প্রোডাকশন করার চেষ্টা করছেন। এরপর আমার আশাবাদ থাকবে, তাঁরা যেন বাংলাদেশের গণ্ডির মধ্যে সবাইকে নিয়ে কাজ করেন। তারপর সেই ছবি বাইরে যাক। তাহলে বেশি আনন্দিত হব।’

মিশা আরো বলেন, ‘চাষা, দিনমজুর—তাঁদের নিয়েই আমাকে চলতে হবে। আমি বরাবরই বলি, পুরস্কারের জন্য ছবি বানান, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পুরস্কারের ছবিগুলো যেন আমিও দেখতে পারি, আমার ড্রাইভারও দেখতে পারেন। বাসার গৃহপরিচারিকা দেখবেন। আমার স্ত্রীও দেখবেন। সব শ্রেণির জন্য ছবি নির্মিত হয়েছিল বলে আজও স্মৃতির মানসপটে রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানা জ্বলজ্বল। আমরা হাজার ছবি করেও স্মৃতির মানসপটে আসতে পারছি না। আমরা যত মাটির সঙ্গে থাকব, তত বাংলাদেশি থাকব। তত বাংলাদেশকে ভালোবাসব, বাংলায় কথা বলব—বাংলা সংস্কৃতি এভাবেই এগিয়ে যাবে।’