‘নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমরা আশা করি এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ছাত্র, শিক্ষক অভিভাবকসহ সকলের নিকট আনন্দদায়ক ও উৎসবমুখর হবে।’ সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এসব পরীক্ষা সফলভাবে অনুষ্ঠানে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলা কালিন সময়ে সহিংস কর্মসূচি না দিতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আশা করি এবার ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে কোন রাজনৈতিক দল এমন কোনো কর্মসূচি দেবে না, যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যারা রাজনীতি করেন তারা তো জনগণের কল্যাণে কাজ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, চলতি বছর এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩শ ৭৮ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭শ ৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭শ ৬৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও বিদেশে অবস্থিত মোট ৮টি কেন্দ্রে ৪৫৮জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হবে।