অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীদের অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা বড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি তা নাকচ করে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেখা যাবে। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন অবসরসীমা বাড়ানো হয়নি। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন ছিল ৫৭ বছর। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করে দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর করে দিয়েছি।’

তরুণদের তো চাকরি দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট ছিল, বর্তমানে নেই বললেই চলে। আমরা সেমিস্টার সিস্টেম করে দিয়েছি। এখন আর সময় নষ্ট হয় না। তরুণ, যারা বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ থেকে বের হবে তাদের তো চাকরি দিতে হবে।

পদোন্নতির ব্যাঘাত ঘটার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যদি অবসরের বয়সসীমা শুধু বাড়ানোই হয় তবে নিচের স্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে এবং নতুনদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ অনেক কমে যায়। তাই যত বেশি অবসরের বয়স বাড়ানো হবে তত চাকরিতে প্রবেশ কমে যাবে।