স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আইনজীবী নিয়োগ করেছে ইসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং ঢাকার দুই সিটিতে যুক্ত হওয়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এজন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হাইকোর্ট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্রে করে দিয়েছিল। স্ট্রে বা আদেশনামার কপি আমরা হাতে পেয়েছি এবং আমরা নকল কপিও সংগ্রহ করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে নির্বাচন কমিশন এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং দুইজন বিজ্ঞ আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে। একজন আইনজীবী যিনি আমাদের নির্বাচন কমিশনের প্যানেল আইনজীবী মো. তৌহিদুল ইসলাম, তাকে সাহায্য করার জন্য আরেকজন আইনজীবী আমরা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট ফিদা কামাল, তিনি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে এই আপিল দায়েরের জন্য এবং আইনি মোকাবেলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেয়া হয়েছে।’
সচিবা জানান, ইতিমধ্যে সব কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদেরকে আমরা ওকালতনামাও দিয়েছি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,যাবতীয় তথ্য এবং হলফনামা আমরা তাদের কাছে দিয়েছি। এখন তাদের সময় সুযোগ মতো চেম্বার জজের কাছে লিভ টু আপিল করবেন। আদালতে আইনি মোকাবেলার জন্য কমিশন তাদেরকে ব্রিফ করে দিয়েছে।
সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকান বিএনপির প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে দেখা করেছে এবং তাদের গঠনতন্ত্রের একটি কপি কমিশনের কাছে দিয়ে গেছে। এগুলো এখনো পর্যালোচনা করা হয়নি। পর্যালোচনা করলে আমরা বুঝতে পারবো সেটার কোনো পরিবর্তন আসছে কি না।
প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন ও এ সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। আলাদা দুটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন চার মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।