‘দুঃসময়েও খালেদার পাশে থাকবো’

৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায় নেতিবাচক হলে দুই কৌশলে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পক্ষে মত দিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া দুঃসময়ে খালেদার পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। রোববার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকটি রাত সোয়া ৯টায় শুরু হয়ে পৌনে ১১টায় শেষ হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে কঠোর কোনো কর্মসূচিতে না গেলেও আইনি লড়াই করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনেতিক লড়াইয়ের কথাও। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জোট প্রধান খালেদা জিয়াকে।

অতীতের মতো সংকটকালীন সময়ে ও দুঃসময়ে খালেদা জিয়ার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেয়া জোটের শীর্ষ নেতারা। এছাড়া খালেদা জিয়াকে ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার প্রত্যয়ও বৈঠকে ব্যক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বৈঠকে ম্যাডাম সবার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি রায় নেতিবাচক হলেও জোট অটুট থাকবে বলে জোট নেত্রীকে সবাই আশ্বস্ত করেছেন। ম্যাডামের মনোবল খুবই চাঙ্গা। তিনি আমাদের বলেছেন, এর আগেও আমি জেলে গিয়েছি। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

এদিকে বৈঠকের শুরুতেই মুফতি ইজহারুল ইসলামকে ২০ দলীয় জোটে যুক্ত না করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে মতামত তুলে ধরেন খেলাফতে মজলিসের আমীর মাওলানা ইসহাক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মুফতি ইজহারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নৌকাকে হযরত নূহ (আ) এর নৌকার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের একমাত্র অবিসংবাদিত নেতা উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীবও তার বক্তব্যে ইজহারুল ইসলামের নেজামে ইসলাম নামের দলকে জোটে যুক্ত না করার নানা যুক্তি তুলে ধরেন। মাওলানা ইসহাকের ও রকিবের এমন বক্তব্যের পরেই বিএনপি মহাসচিব বলেন, জোটের পরবর্তী বৈঠক পর্যন্ত মুফতি ইজহারুল ইসলামকে জোটে নেয়ার বিষয়টি স্থগিত করা হলো।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন খালেদা জিয়া।