অভিজ্ঞতা না থাকলেও ১৪২ তলা টাওয়ার নির্মাণের টেন্ডারে অংশগ্রহণ
তিন-চার তলা ভবনের চেয়ে বড় ভবন তৈরির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও ১৪২ তলা টাওয়ার নির্মণের টেন্ডারে সিকদার গ্রুপ অংশগ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, এ কাজে শেয়ার পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি মামাদের ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার দফতরে ৮৫ তম জন্মদিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, উচ্চতার দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি হচ্ছে দুবাইয়ের ১৬৫ তলার বুর্জ আল খলিফা। আকাশ চিড়ে বের হওয়া এমন টাওয়ারের নাম এখন বাংলাদেশের সঙ্গেও লেখা থাকবে। এমনি একটি স্বপ্ন পূরণে পূর্বাচলে আইকনিক নামের ১৪২ তলার টাওয়ার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। কিন্তু নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঝুলছে স্বপ্নটি।
আইকনিক টাওয়ার নির্মাণে ২০১৬ সালের ১২ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেপিসি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কেপিসি গ্রুপের কর্ণধার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কালী প্রদীপ চৌধুরী চুক্তির জন্য একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকাতেও এসেছিলেন। কিন্তু সেদিন বেলা আড়াইটার দিকে অর্থমন্ত্রীর দিনের কার্যসূচি থেকে চুক্তি স্বাক্ষরের কর্মসূচি ‘অনিবার্য কারণে’ বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তারপর বিষয়টি একরকম স্থবির হয়ে যায়।
টাওয়ারটি নির্মাণে সর্বশেষ অপডেট বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানে কেপিসি গ্রুপসহ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সিকদার গ্রুপ অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো সিকদার গ্রুপের তিন-চার তলা ভবনের চেয়ে বড় ভবন তৈরির কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
তাই এ টেন্ডার থেকে সিকদার গ্রুপকে খুব সহজেই সরিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু তাদের মামা-টামার জোর খুব বড়। এসব ব্যবহার করে তারা মনে হয় আইকনিক টাওয়ার তৈরিতে কিছু শেয়ার চায়। বিষয়টি এখন এ অবস্থাতেই রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে বেশ সময় ব্যয় হয় এ রকম অভিযোগ রয়েছে। এটা সত্যও বটে। তবে এ বিষয়ে ওয়ানস্টপ সার্ভিস দিতে কাজ করছে বিডা। আশা করছি ধীরে ধীরে এ সমস্যা কেটে যাবে।
মুহিত বলেন গত দশ বছরে দেশে প্রায় ১০ শতাংশ দারিদ্রের হার কমেছে। এটা খুব বড় অর্জন। আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ দেশে গরীব মানুষ থাকবে না বলেও জানান তিনি। এ জন্য আরও একবার শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো প্রয়োজন বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তা না হলে এসব অর্জনের গতি মন্থর হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।