‘যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ সেখানেই দুদকের অনুসন্ধান’

দুদকের অনুসন্ধানের কারণে ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ পাচ্ছে সেখানেই দুদক অনুসন্ধান করছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে কাইট বাংলাদেশের সঙ্গে এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি এবং রাষ্ট্রায়ত্ব কয়েকটি ব্যাংকে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও গত ৮ জানুয়ারি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেছিলেন ‘বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বিরাজ করছে।’

সেই মন্তব্যের কারণ জানতে চাইলে মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে যেসব জালিয়াতির তদন্ত হচ্ছে এর সবগুলোই ২০১৭ সালের আগে। ২০১৭ সালে ব্যাংকিং খাতে বড়ধরনের কোনো জালিয়াতির ঘটনা আমার চোখে পড়েনি। এক্ষেত্রে আমরাও কঠোর অবস্থানে আছি। কোথাও দুর্নীতির অভিযোগ পেলে আমরা অনুসন্ধান করছি। সে হিসেবে আমি বলতে পারি দুদকের তদন্তের কারণে ব্যাংকিং খাতে জালিয়াতি কমেছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের শুধু শিক্ষা মন্ত্রণাল নয়, সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত দুদকের কার্যক্রম বিস্তৃত। আমরা যেখানেই অবৈধ সম্পদ বা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাবো সেখানেই অনুসন্ধান করবো।’

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনের দুর্নীতির অভিযোগ দুদক অনুসন্ধান করবে বলে জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান। ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালের যে দুইজন কর্মচারীকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তথ্য আমরা জেনেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। যেখানেই দুর্নীতি পাবো আমরা অনুসন্ধান করবো।’

গতকাল সোমবার রাতে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম মৃধা বাদী হয়ে বনানী থানায় শিক্ষামন্ত্রীর পিও ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (প্রেষণে) উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং লেকহেড স্কুলের পরিচালক খালেক হাসান মতির বিরুদ্ধে ১৬১, ১৬২ ও ১৬৩ ধারায় মামলা করেন। আজকে তাদের আদালতে তোলার কথা রয়েছে।