মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি, সাংসদ মোজাম্মেল হকের শাস্তি দাবি

মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরিয়তপুরের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সংগঠন। সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমন্বয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ ও জাজিরা এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করা হচ্ছে? আমাদের কেন রাস্তায় নামতে হচ্ছে? সরকার প্রধানের কাছে আমরা জবাব চাই। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে বিএম মোজ্জাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধাকে যে ভাষায় গালি দিয়েছেন এটা কোনোভাবে আমাদের কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করে তিনি রাষ্টের আইনপ্রণেতা হিসেবে থাকতে পারেন না। অতি শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি আসবে। বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ আহম্মেদ বলেন, আমরা বিএম মোজাম্মেল হকের অপসারণ চাই। তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুরক্ষা আইন করতে হবে।

মানববন্ধনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ জানাতে আমরা আজ মানববন্ধন করছি। আজকে সব জায়গায় একই রকমভাবে বসে আছে মুক্তিযোদ্ধের বিরোধী শক্তি। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করার কারণে বিএম মোজাম্মেল হকের শাস্তি চাই।

মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কায়সার নাসিম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানায় বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল হকের খারাপ আচরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হলে আন্দোলনে নামে কয়েকটি সংগঠন।