‘আইভীর উপর শামীম ওসমান সমর্থকদের হামলা, নারায়ণগঞ্জে রণক্ষেত্র’

নারায়ণগঞ্জ শহরে হকারদের ঠেকাতে রাস্তায় নামার পর মেয়র আইভী ও শামীম ওসমানের সমর্থক হকারদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মেয়র আইভীসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই’ স্লোগান ধরে লোকজন নিয়ে চাষাড়ার দিকে হেঁটে আসছিলেন সেলিনা হায়াত আইভী। এ সময় শামীম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াত আইভী। তার পায়ে ইটের আঘাত লেগেছে। সেখান থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।

এই ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আইভি বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাড়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানো নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইট পাটকেল ছোড়ে। এটা নিরস্ত্র লোকের সশস্ত্র হামলা। এ হামলায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে চাষাড়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শামীমপন্থী ফুটপাত দখল করতে এলে এতে নগরবাসীসহ বাধা দেন মেয়র আইভী। তখনই মেয়র ও নগরবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শামীম ওসমান বাহিনী। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ১৫ মিনিট পর্যন্ত গুলি বিনিময় চলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক শরিফুদ্দিন সবুজ ও ফটো সাংবাদিক তাপস সাহসহ অন্তত ২০ জন। এদিকে, নগরবাসীকে নিয়ে রাজপথে মেয়র আইভী উপস্থিত রয়েছেন। তবে কোথাও শামীম ওসমানকে দেখা না গেলেও বিকেল ৫টার দিকে তিনি নিজেও মাঠে নামেন। নেতাকর্মীসহ সংগঠিত হয়ে চাষাড়ায় অবস্থান করছেন।