সিরিয়ায় ৩০ হাজার সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করায় ক্ষুব্ধ তুরস্ক

মার্কিন নেতৃত্বাধীন কথিত আন্তর্জাতিক সামরিক জোট সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে ৩০ হাজারের একটি বিশাল সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বাহিনীতে সিরিয়ার বহু কুর্দি গেরিলা থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে- মার্কিন এ পদক্ষেপে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে ন্যাটো জোটের একমাত্র মুসলিম সদস্য তুরস্ক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের একজন শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সিরিয়ার ভেতরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে প্রশক্ষিণ দেয়ার কারণেই মূলত গত সপ্তাহে মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ফিলিপ কোসনেটকে তলব করা হয়।মার্কিন এ তৎপরতার বিরুদ্ধে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয্যেব এরদোগান এরইমধ্যে নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।

কথিত এ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ক্লাস চলছে। পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ শেষে এ বাহিনীকে সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হবে যেখানে এখন মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স বা এসডিএফ মোতায়েন রয়েছে। উত্তরে তুরস্ক সীমান্তে,দক্ষিণ-পূর্বে ইরাক সীমান্তে এবং সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর তীর ধরে এদেরকে মোতায়েন করা হবে। ইউফ্রেটিস নদীর মাধ্যমে মূলত সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকা ও কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকা বিভক্ত হয়েছে।

এসডিএফ’র মধ্যে সিরিয়ার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় কুর্দি গেরিলা সংগঠন পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি’র প্রাধ্যান্য রয়েছে।ওয়াইপিজি-কে তুর্কি সরকার কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকে’র সহযোগী বলে মনে করে।