ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেননি ৫৬০০ প্রার্থী

আসন স্বল্পতার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় দুটি কেন্দ্রের সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা শুক্রবার বিকালে মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ ও ভাংচুর চালিয়েছে।

পরীক্ষা না দিয়ে বেরিয়ে গেছেন বাংলা কলেজের পরীক্ষার্থীরাও। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি।

এই কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন খান বলেন, “কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তাদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা চলছে।”

রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও ক্যাশ অফিসার পদে নিয়োগের এই সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগকে। বাংলা কলেজ কেন্দ্রে চার হাজার এবং মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ১৬০০ চাকরি প্রত্যাশীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল বলে জানান তিনি।

এক রিট আবেদনে এ পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের আদেশে এই পরীক্ষা নেওয়ার পথ তৈরি হয়। আগের ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলে।

এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আটটি ব্যাংকে মোট ১৬৬৩টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

“এক বেঞ্চে ৮-১০ জন বসিয়েছে, এতে সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে আসে। অনেকে ওএমআর শিট নিয়েই ফিরে গেছে। এই কেন্দ্রের কেউই পরীক্ষা দিতে পারেনি।”

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে প্রার্থীরা ওই কলেজের সামনের সড়কে বিক্ষোভ করেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।

পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিরপুর বাংলা কলেজের পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একই রকম।